ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন ভেনেজুয়েলার ওপর নৌ অবরোধের হুমকির নিন্দা ইরানের গুম ও নির্যাতনের মামলা শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে’ বলে গাড়ি ম্যানেজ করেন ফয়সাল মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ফিরছেন তারেক রহমান হাসনাতের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দুই ‘সন্দেহভাজন’ আটক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা শেষ স্ট্যাটাসে হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী দ্রুত বিচার আইনের দুই মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস-আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি হাদিকে গুলির আগের রাতে ফয়সাল তার বান্ধবীকে দেশ কাঁপানোর বার্তা দেন মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিএনসিসির বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির চেকপোস্ট ব্যবস্থা জোরদার ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন ইনুর শীতে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়েছে? যা করতে পারেন চায়ের সঙ্গে যে খাবারগুলো খাওয়া ক্ষতিকর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব ওমরাহ ও হজের সময় শিশু হারানো রোধে সৌদি আরবে বিশেষ ব্রেসলেট চালু বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত ৮০ শতাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিদের প্রাণ বাঁচিয়ে ‘জাতীয় হিরো’ আল আহমেদ

৪০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘোরা সেই হরেনকে ২০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ

  • আপলোড সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৩:৩০:৫৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৩:৩০:৫৬ অপরাহ্ন
৪০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘোরা সেই হরেনকে ২০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ
৪০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘোরা সেই হরেন চন্দ্র অবশেষে মামলায় জয়ী হয়েছেন। প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুয়া মামলা করেছিল। এ কারণে বৃদ্ধ হরেন চন্দ্র নাথকে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আদালতে হরেন চন্দ্র নাথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ৪০ বছর আগে ব্যাংকের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। তবে মামলায় খালাস পেলেও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপিল করে মামলাটি জিইয়ে রাখে। এভাবে চার দশক কেটে গেলেও আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।

বিএ পাস করে ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক পদে সোনালী ব্যাংকে ঢাকার একটি শাখায় যোগদান করেন। তিন বছর পর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক হন। এর পর তাকে যাত্রাবাড়ী শাখায় বদলি করা হয়। চাকরিরত অবস্থায় রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ১৬ লাখ ১৬ হাজার ১০০ টাকা যাত্রাবাড়ী শাখা থেকে লোকাল অফিসে স্থানান্তর করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা সিল-স্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে সমুদয় অর্থ বুঝে নেন। এর কিছুদিন পর ১৯৮৫ সালে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ওই টাকা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তহবিল তছরুপের অভিযোগে ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে তাদের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এরপর গ্রাহকের টাকা জমা না দেয়ায় অপর একটি মামলায় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে স্থাপিত ওই কর্মকর্তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৯০ সালে হরেন্দ্রনাথ জেল খেটে বের হন।এর আগে ১৯৮৫ সালের ২৯ জুলাই হরেন্দ্রনাথসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার বিশেষ আদালতে ফৌজদারি মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। বিচারে ১৯৮৬ সালের ১৫ নভেম্বর বেকসুর খালাস পান হরেন্দ্রনাথসহ সবাই।মামলায় পরাজিত হয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গোপনে ১৯৮৮ সালে হরেন্দ্রসহ সবার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। সেই মামলায় একতরফা রায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সমুদয় অর্থ ফেরত দেয়ার আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে আবেদন (মিস কেস) করেন হরেন্দ্রনাথ। ১৯৯২ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত আপিল গ্রহণ করেন; একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করেন।

এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করে। ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট এ আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন